ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবন্ধীকে ‘ধর্ষণ, টাকায় ধামাচাপার চেষ্টা’

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2020, 12:20 PM
Updated : 1 April 2020, 12:20 PM

বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, গত সোমবার সকালে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মামলা করার পর আসামি সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে রনিকে (২০) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মেয়েটির মায়ের করা মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে পরিদর্শক আতিকুর রহমান আতিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে ৯ বছরের বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে বাড়িতে রেখে তার মা খেতে গম কাটতে যান। এ সুযোগে একই গ্রামের রনি বাড়িতে ঢুকে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে রনি পালিয়ে যায়।

ঠাকুরগাঁও আদালতে ওই শিশুর মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেছে রনি। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশেদুজ্জামান চৌধুরী আমার বাড়ি আসেন।”

এ সময় ছেলের পক্ষ এবং আরও বেশকিছু স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন বলে তিনি জানান।

ইউপি সদস্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অনুরোধ করেন বলেও মেয়েটির মা অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আমার ছেলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করলে বাড়িতে পুলিশ এসে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে এবং ‘ধর্ষণকারী’ রনিকে গ্রেপ্তার করে।”

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য রাশেদুজ্জামান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুনেছি একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার বিকালে নামাজ শেষ করে আমিসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে ওই মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য। আমি এই ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা করিনি।”

পরিদর্শক আতিকুর রহমান আতিক আরও বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার শিশুটির মা বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলায় সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে রনিকে (২০) আসামি করা হয়েছে।

“বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনার মীমাংসার সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।”