এতে এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও প্রকাশ করা হয়।
পিরোজপুর জেলা পরিবেশ আন্দোলন সভাপতি শহিদুল্লাহ খান বলেন, করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়ানোর মধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে অনেক মানুষ এসেছে।
“পিরোজপুরেও চীন, ইতালি, ফ্রান্স, সৌদি আরব, দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে প্রায় দুই হাজার প্রবাসী এসেছে। কিন্তু এর ভিতরে প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টিনে আছে মাত্র ৪৫৯ জন।”
তিনি বলেন, এছাড়া অনেক প্রবাসীই আছে প্রশাসনের নজরের বাইরে। এদিকে গত ২৬ মার্চ সরকার বন্ধ ঘোষণার পরপরই পিরোজপুর শহর ও গ্রামে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে প্রচুর মানুষ এসেছে।
তিনি বলেন, তারা প্রায় সকলেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ যে নিদের্শনা দিয়েছে তা মানছে না। স্থানীয় হাট-বাজার এবং চায়ের দোকানে সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখেই নিয়মিত চলাচল করছে। শিশুরা ঘরে না থেকে মাঠে খেলাধুলা ও দোকানে আড্ডা দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাসনাত ইউসুফ জাকী বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের এলাকায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক না থাকার কারণেই তারা তেমন সেটা মনছে না।
“করোনাভাইরাসে যারা এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে তাদের মাঝে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি। তাই পিরোজপুরে গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের তেমন ঝুঁকি নাই।”
“এছাড়া বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়ে নজরদারি চলছে। গ্রাম এলাকায় রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে অনেক সময় মানুষ জমায়েত হচ্ছে; তার খবর আমাদের কাছে আসে না। তবে এখন গ্রাম এলাকার হাট-বাজারে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হবে।”
এছাড়া জেলা প্রশাসন তথা সরকারি নির্দেশ উপেক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে বলেও তিনি জানান।