উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দিন মনজু মঙ্গলবার বিকেলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শোল্লা ইউনিয়নের ৫৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সোমবার রাতে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে মারা যান।
“আজ সেই খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন দুপুরে তার বাড়িতে যান। তার স্ত্রী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে, তার অসুস্থতার লক্ষণ শুনে আশপাশের ১২টি পরিবারকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছে।”
ইউএনও বলেন, পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়ায় ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ তারা এখনও জানতে পারেননি।
“তবে যেহেতু তার মৃত্যু আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় হয়েছে, তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তার বাড়ি এবং আশপাশের কয়েকটি বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। তাদের যেন বের হতে না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু উপজেলা প্রশাসন সরবরাহ করবে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকেলে সর্দি, কাশি ও প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান শোল্লা ইউনিয়নের ওই ব্যক্তি।
“তার মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানীয় সাংসদের সহায়তা নিয়ে সন্ধ্যার পর তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।”
ওই ব্যক্তি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন জানিয়ে ডা. শহিদুল বলেন, “তার এক প্রতিবেশী ইতালি থেকে ফিরেছেন। তাদের একসঙ্গে চলাফেরা করার তথ্য এসেছে আমাদের কাছে। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়ার পর যদি নমুনা পরীক্ষা হয়ে থাকে, তাহলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তার মৃত্যু করোনাভাইরাসে হয়েছে কি না।”
এ বিষয়ে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল বা আইইডিসিআরের বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।
শোল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান তুহিনুর রহমান বলেন, “আমি ঘটনা শোনার পরপরই সেখানে গিয়ে সকলকে নিরাপদে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকটি বাড়ি চিহ্নিত করে সবাইকে বাড়ির বাইরে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ওই বাড়িগুলোতে হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যানারও টানিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল বলেন, কেউ নিয়ম না মানলে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।