সোমবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেশিন আনা হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, মেডিকেল কলেজের তৃতীয় তলায় পিসিআর মেশিনটি স্থাপন করা হচ্ছে। এখন থেকে এখানেই পিসিআরের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজন রোগীর রক্ত, ঘাম ও কফ পরীক্ষা করা হবে।
“খুলনা বিভাগের সব নমুনা এখানেই পরীক্ষা করা হবে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে জরুরি কোনও নমুনা হলে তা ঢাকা থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনা হবে।”
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, নমুনা সংগ্রহের পর আমরা পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে পারব; যার ফলাফল একদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে।”
সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে এক্সপার্ট আসার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মেশিনটি এরপর স্থাপন করা হবে।
কিট এখনও আসেনি উল্লেখ করে ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, মঙ্গলবার আইইডিসিআরের একটি টিম কিট নিয়ে খুলনায় আসবে।
“বৃহস্পতিবার অথবা শনিবার থেকে এখানে করোনার পরীক্ষা শুরু করা যাবে।”
এদিকে, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অসীত ভূষণ দাস জানান, মেশিনটি কলেজের দ্বিতীয় তলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপন করা হবে। তবে পিসিআর স্থাপন করতে একটি পূর্ণাঙ্গ ল্যাবের প্রয়োজন।
“আগে ল্যাব তৈরি করা হবে, পরে মেশিন স্থাপন।”
কবে থেকে পরীক্ষা শুরু হবে প্রশ্নের জবাবে ডা. অসীত ভূষণ বলেন, “কেউ চাইলেই এ পরীক্ষা করতে পারবেন না। এজন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
“প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাই নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে নিয়ে আসবে। এরপরে পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে কভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে।”
ঢাকার টিম বরিশালে আসার পর আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান অধ্যক্ষ।
তবে আগামী ১০ এপ্রিলের দিকে পরীক্ষা শুরু করার আশা প্রকাশ করেছেন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।
তিনি জানান, এরই মধ্যে এক হাজার পিপিই বুঝে পেয়েছেন তারা। পরীক্ষার কিটসহ অন্যান্য সরঞ্জাম শিগগিরই পেয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।