চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ছিল না; তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন।
সোমবার সকালে যশোরের ঝিকরগাছার বাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের এই সদস্যের মৃত্যু হয় বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান।
প্রয়াতের ছেলে সাংবাদিকদের বলেন, তার বাবার বয়স ৫৮/৫৯ বছর হবে। গত ১৪ মার্চ মালেশিয়া ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পর থেকে তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের করা বিদেশ ফেরত তালিকার ৯৬৬ নম্বর ব্যক্তি।
“তাকে হোম কোয়ারেন্টানে রাখার জন্য তার হাতে বিদেশফেরত সিল ও বাড়িতে লাল পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। গত ২৮ মার্চ তার ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টানের মেয়াদ শেষ হয় এবং তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় চলাফেরা করেছেন।”
মৃত ইউপি সদস্যের ছেলে আরও জানান, সোমবার সকালে তার বাবা বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং কয়েকবার বমি করেছেন। পরে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসককে ডেকে আনলে তিনি মৃত ঘোষণা করেন। এর আগেও দুইবার তার মিনি স্ট্রোক হয়েছিল বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তিনি ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তার শরীরে অসুস্থতার কোনো লক্ষণ ছিল না। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমি মজুমদার বলেন, “এই ইউপি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে।”