এক ভিডিও বার্তায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সারাদেশে সব গণপরিবহন ‘লকডাউন করার’ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
এ নির্দেশ উপেক্ষা করে উত্তরবঙ্গমুখী মহাসড়কে নেমেছে গাড়ির ঢল। বৃহস্পতিবার এসব যানবাহনের চাপে মাঝে মধ্যেই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটও।
“ঈদের মত মানুষ ঘরে ফিরছে। প্রচুর গাড়ির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।”
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকায় সব কিছু বন্ধ ঘোষণা করার কারণে মানুষ ঘরমুখো হয়েছে। এক সাথে প্রচুর যানবাহন মহাসড়কে চলায় টাঙ্গাইলে গতকাল থেকেই যানজট লেগে ছিল।
“বেশ কিছু যানবাহন মহাসড়কে আটকা পড়ায় নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। তাই মহাসড়কে এখনও যানবাহন চলাচল করছে।”
তবে তার আশা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আর আগামীকাল থেকে মহাসড়কে কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার করেন তিনি।
করোনাভাইরাস রোধে সরকারের ঘোষিত টানা ১০ দিনের সাধারণ ছুটি শুরু হয়েছে বৃস্পতিবার। এ সময় ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছড়া বেরোনো নিষেধ। নির্দেশ অমান্য করলে দন্ড দেওয়ার জন্য আইনে সংশোধনও আনা হয়েছে সম্প্রতি।
তবে যানবাহন চালকরা বলছেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার গাড়িগুলো যানজটসহ বিভিন্ন কারণে সময় মত গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ আরও বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কে কাজ করছে পুলিশ বলেও জানান তিনি।
মহাসড়কে জট লাগলেও সিরাজগঞ্জের অভ্যন্তরীণ রুটে চলছে না যানবাহন।