এদের মধ্যে আবার অসুস্থ অনেকের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়েছে আইইডিসিআর। তবে কয়জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তা জানানো হয়নি।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, বুধবার রাতে আইইডিসিআরের টিম নমুনা নিয়ে ঢাকা উদ্দেশে গাইবান্ধা ছেড়েছে।
আইইডিসিআর সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং বগুড়ার কয়েকটি এলাকার বেশকিছু সন্দেহভাজনের নমুনা সংগ্রহ করেছে বলে সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ বলেন, বেশ কয়েক জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল বুধবার রাতে ঢাকায় ফিরে গেছে।
“কিন্তু তা কতজনের, তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গাইবান্ধায় করোনাভাইরাসে আরও নতুন করে কেউ আক্রান্ত আছে কিনা আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে।”
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত জেলায় ২৮৪ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন বিদেশি, ১৭৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশি ও ১০০ জন সাদু্ল্লাপুরে বিয়ে বাড়িতে আসা করোনাভাইরাস পজিটিভ যুক্তরাষ্ট্রফেরত দুজনের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি। এছাড়া ৪৩ জনের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ায় এখন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ২৩৯ জন।
“এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওই দুইজন তাদের বাড়িতে আছেন। তারা আমাদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে আছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাস উপর্সগ শুরু হওয়ার পর ৪৩৬ জন বিদেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশি গাইবান্ধায় ঢুকেছে।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, বুধবার থেকে গাইবান্ধায় সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে। তারা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
গত ১১ মার্চ সাদুল্লাপুর উপজেলার একটি গ্রামের এক বাড়িতে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী দুইজন আত্মীয়। তারা ওই বাড়িতে প্রায় অর্ধশতাধিক লোকের সঙ্গে দুদিন থেকে ১৩ মার্চ নিমন্ত্রণ খেয়ে গাইবান্ধা শহরে নিজেদের বাড়ি চলে যান। এরপর তাদের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে।