আইইডিসিআর নমুনা নিল ইতালিফেরত যুবকের

শরীয়তপুরে নড়িয়ায় ইতালিফেরত এক যুবক ও তার স্ত্রীর করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়েছে আইইডিসিআর।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2020, 08:01 AM
Updated : 26 March 2020, 08:01 AM

নড়িয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজিব হাওলাদার জানান, জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা থাকায় আইইডিসিআর থেকে বিশেষজ্ঞ টিম এসে এই দুজনের নমূনা সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে গেছে।

জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই দম্পতিকে নজরদারিতে রেখেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

চামটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন রাঢ়ি জানান, গত ১৩ মার্চ ইতালি থেকে বাড়ি আসেন ইতালি প্রবাসী এই যুবক (৪৫)। বাড়ি আসার পর তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এ অবস্থায় ২২ মার্চ তার ও তার স্ত্রীর (৩২) জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা শুরু হয়।

নিজাম উদ্দিন বলেন, তখন ওই যুবক আইইডিসিআরের নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। ওই সময় আইইডিসিআরের ডা. রাব্বানী মাদারীপুরের শিবচর আবস্থান করছিলেন। তিনি সেখান থেকে তার টিমের লোকজন নিয়ে ২৪ মার্চ সকাল ১১টায় ওই গ্রামে ছুটে যান এবং এই দম্পতির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা মহাখালীতে পরীক্ষারে জন্য নিয়ে যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজিব হাওলাদার বলেন, “গতকাল থেকে দুজনই ধীরে ধীরে সুস্থতা অনুভব করছেন। এ ব্যপারে জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছে।”

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, “ওই স্থানে স্বাস্থ্য বিভাগের লোক নিয়োজিত রয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। ২৪ মার্চ সকালে আইইডিসিআর থেকে বিশেষজ্ঞ টিম এসে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে নিয়ে গেছে। রোগী আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ অনুভব করছেন।”

সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, জেলায় মোট ৩৫৫ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। এমের মধ্যে আছেন নড়িয়া উজলোয় ১২৩, জাজিরায় ৪৩, ডামুড্যায় ৪২, গোসাইরহাটে ২৩, সদরে ৭৪ ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৫০ জন।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৯ জন; সুস্থ হয়েছেন সাতজন এবং মারা গেছেন পাঁচজন।