গত বুধবার থেকে কারাগারে ১০টি মোবইল ফোন নম্বর খোলা হয়েছে বলে জেলা সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানিয়েছেন।
এছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কারাকর্তৃপক্ষ নানা সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সুভাষ কুমার ঘোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারাগারে আসা নতুন বন্দিদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। নতুন বন্দিদের পুরাতনদের থেকে আলাদা রাখা হচ্ছে। বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও জীবানুনাশক দিয়ে স্প্রে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
“প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দুপুর একটা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বন্দিরা তাদের স্বজনদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবেন।”
জেল সুপার জানান, বন্দিরা ৫ মিনিট কথা বলতে পারবেন। প্রতি মিনিট কথা বলার জন্য এক টাকা করে কেটে নেওয়া হবে তার পিসি (প্রিজন ক্যান্টিন) একাউন্ট থেকে যে একাউন্টে পরিবারের লোক বন্দির ব্যক্তিগত খরচের জন্য টাকা জমা করেন।
বন্দিরা কার সঙ্গে কী কথা বলছেন তা কারা কর্তৃপক্ষ নজরে রাখতে প্রত্যেকটি ফোনে রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ আরও জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কারাগারে ভেতরে নিয়মিত ক্লোরিন ও পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটযুক্ত পানি ছিটানো হয়। জুতার তলায় ক্লোরিন ও পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ভিজিয়ে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ। কারাবন্দিদের জন্য ভবনের সামনে পানির হাউজের কাছে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া দর্শনার্থীদের জন্য বাইরে হাত ও পা ধোয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আবাসিক এলাকা ও ব্যারাকের সামনে ট্রে-তে ক্লোরিন ও পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মিশ্রিত পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত কারাভ্যন্তর ও বহির্ভাগের ভেতরে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি স্প্রে করা হচ্ছে। বন্দি ও স্টাফ ব্যারাক প্রতিনিয়ত পরিষ্কার কার্যক্রম অব্যহ্ত। কারাগারের ভেতরে প্রতিষ্ঠিত ‘রিজিলিয়ান্স গার্মেন্টস’ থেক বন্দি কর্তৃক উৎপাদিত মাস্ক কারাপ্রদর্শনী কেন্দ্রে উৎপাদন খরচে তথা সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বন্দিরা পারিশ্রমিক না নিয়ে আর্তমানবতার সেবায় দিন-রাত পরিশ্রম করে মাস্ক উৎপাদান করছেন।