বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. আবু জাফর মো. ছলিম এ কথা জানান।
ডা. আবু জাফর মো. ছলিম বলেন, সতর্কতা ও নিজের সুরক্ষার জন্য এই ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ যাওয়া। তিনি সুস্থ আছেন।
তিনি জানান, সৌদি আরবে ওমরা হজ পালন করে সদ্য কক্সবাজারে ফেরেন ষাটোর্ধ্ব এক নারী। যিনি গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই জেলায় নভেল করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্ত রোগী। এ রোগীর চিকিৎসকের দায়িত্বে ছিলেন ইউএনও-র স্বামী ডা. মো. ইউনুছ।
‘বিদেশফেরত ওই নারীর নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় চিকিৎসককেও কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ‘আইসোলেশন’ ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। এরপর তার স্ত্রী নাইক্ষ্যংছড়ি ইউএনও মঙ্গলবার রাত থেকে স্বেচ্ছায় ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ গেছেন।’
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বান্দরবানে লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় আংশিক ‘লক ডাউন’ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। নিদের্শনায় বলা হয়েছে এ তিন উপজেলার সাথে কক্সবাজার জেলার প্রবেশ পথ রয়েছে। কক্সবাজার জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ সিদ্ধান্তের পর রাত ৮টা থেকে এ তিন উপজেলায় খাদ্যপণ্যবাহী যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী যানবাহন ছড়া সব ধরণের পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে ‘লক ডাউন’ চলাকালে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকবে। এর বাইরে সব দোকানপাট পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ পার হওয়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা, যা এখন সাড়ে ১৯ হাজারেরও বেশি বলে জানাচ্ছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। আর বাংলাদেশে পাঁচ মারা গেছে এবং ৩৯ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে সরকারি তথ্যমতে।