বুধবার সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুরে তুরাগ নদীর তীরে এই হাট বসে।
মির্জাপুর কলেজের লাইব্রেরিয়ান আবু নাসির বলেন, এটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাট। গরু-ছাগল, হাস-মুরগিসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কেনাবেচা হয়। প্রতি বুধবার হাট বসে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বুধবারও হাট বসেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হাট ভেঙে দিলেও পরে আবার হাট বসে।
স্থানীয় বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, দুপুরে হাট-বাজার সাময়িক বন্ধ থাকলেও পুলিশ চলে গেলে আবার জমে ওঠে এবং ইজারাদারের লোকজন গিয়ে টোল আদায় করেন।
“আর আমরা একদিন বাজার করে সাত দিন খাই। এদিন সস্তায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায় বলে করোনার সতর্কীকরণ উপেক্ষা করে বাজার করতে গিয়েছিলাম।”
ভাওয়াল মির্জাপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও হাটের ইজারাদার আব্দুল গণিও হাট বসার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, মাইকিং করে নিষেধ করলেও দোকানি ও এলাকাবাসী তা উপেক্ষা করে হাটে আসেন। পরে পুলিশ আসলে হাট ভেঙে যায়।
তিনি এক বছরের জন্য ৬৫ লাখ টাকায় ওই হাট ইজারা নিয়েছেন জানিয়ে বলেন, প্রতি হাটে এক থেকে দেড় লাখ টাকা টোল ওঠে। হাট ভেঙে দেয়ায় বুধবার তেমন টোল ওঠেনি।