‘চারদিন ধরে বলে বলেও তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারা যায়নি; তিনি এর আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকি’ৎসাধীন ছিলেন।
বুধবার তাকে সেখান থেকে কুর্মিটলা হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। আগের গভীর রাতে অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
ওই নার্সের স্বামী জানান, তার স্ত্রীকে কুর্মিটলা হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে নেওয়া হয়েছে। তবে দুপুর ২টা পর্যন্ত তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।
“আমার স্ত্রী চিকিৎসকদের বারবার বলেছে, আমি নার্স, আমি তো বুঝতে পারছি, করোনাভাইরাসের সব লক্ষণ আমার মধ্যে রয়েছে-দ্রুত পরীক্ষা করুণ কিন্তু গত চারদিনেও তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি।”
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত ২১ মার্চ তাকে রাজশাহীতে স্থাপিত সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়। তবে সরঞ্জাম না থাকায় চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা করতে পারেননি।
“অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”
তিনি জানান, ঢাকা থেকে বাসে ফেরার সময় ইতালিফেরত এক প্রবাসী আত্মীর সহযাত্রী ছিলেন ওই নার্স।
“রাজশাহী ফিরেই তার জ্বর আসে। এজন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন ভেবে নিজেই চিকিৎসকদের তা জানান। এরপর তাকে রাজশাহী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়েছিল।
পরে তিনি স্বেচ্ছায় তার বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যান জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে নেওয়া হয়। পরে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইসিডিআর) যোগাযোগ করার পর তাকে রাতে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।