মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার রাতে শুরু হওয়া যানবাহনের এই লাইন বুধবার সকালে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা পর্যন্ত অন্তত ৩০ কিলোমিটার বিস্তৃত হয়ে পড়েছে।
ভয়াবহ এই যানজটে আটকে পড়া হাজারো যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রাজধানী থেকে একযোগে অনেকে বাড়ি ফেরা শুরু করলে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
এছাড়া মহাসড়কের চলমান উন্নয়ন কাজ এবং একটি যান বিকল হয়েও যানজট তীব্রতর করে।
মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের পথে শিমুলিয়া ঘাটেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় হাজার হাজার মানুষ গাদাগাদি করে ফেরিতে পদ্মা পার হয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) সাজেদুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার কদিমধল্যা এলাকায় আন্ডারপাসের কাজ চলমান থাকায় ওই অংশে ওয়ানওয়েতে যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া মহাসড়কে একটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ায় যানজট বেড়ে যায়।
ট্রাক চালক বাদশা মিয়া বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা থেকে বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হয়ে বুধবার সকাল ৬টায় তিনি মির্জাপুর এসে পৌছেছেন।
অপর ট্রাক চালক চাঁনলাল বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় তিনি ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হয়ে বুধবার সকাল সোয়া ৬টায় মির্জাপুর পৌঁছেছেন।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে যানজট কমতে শুরু করেছে। অল্প সময়ের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।