এছাড়া অনেক ঘরের টিনের চাল শিলার আঘাতে ছিদ্র হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সোমবার শেষ রাতে হঠাৎ করেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন বলেন, “অন্তত ২০টি গ্রামের ১৩০২ হেক্টর জমির পেঁয়াজ-রসুনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির হিসাব পাওয়া গেছে।”
এলাকাবাসীর কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপুর, ঘড়িবাড়ি, চরবালিয়াঘাটা, বালিয়াঘাটাসহ বিস্তৃত এলাকায় মাঠের পেঁয়াজ, রসুন, গম, কলাগাছ, বাঙ্গিসহ বিভিন্ন সবজিক্ষেত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পড়ে আছে বড় বড় শিলা। নষ্ট হয়েছে অন্তত ২০টি পানের বরজ। শিলার প্রচণ্ড আঘাতে মারা গেছে বিভিন্ন গাছে থাকা অর্ধশতাধিক পাখি।
একই গ্রামে আরও অন্তত ১০ জন কৃষক একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ও কৃষি কর্মকতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম বলেন, যাদের বসতঘর নষ্ট হয়েছে তাদের যত দ্রুত সম্ভব ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।