পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করা ইতালিফেরত সেই যুবক রিমান্ডে

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করা ইতালিফেরত সেই যুবককে আট দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (সিএসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের বিচারিক হাকিম তাছলিমা আক্তার এ আদেশ দেন।

এর আগে রোববার  মিঠামইন থানার এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে শেখ হোসাইন মো. ইকবাল ও শেখ বাবু আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ করা হয়, মিঠামইনের ঘাগড়া গ্রামের শেখ হোসাইন মো. ইকবাল গত ৭ মার্চ ইতালি থেকে দেশে ফেরেন। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে তিনি অবাধে মেলামেশা ও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানালে ১৩ মার্চ মিঠামইন থানার এসআই নজরুল ইসলাম এবং এএসআই কিরণচন্দ্র মণ্ডল তার বাড়িতে যান। পুলিশ তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার অনুরোধ করে। এ নিয়ে তিনি পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পর ইতালিফেরত ইকবাল ফেসবুকে ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে পুলিশ আমার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে’ এই মর্মে একটি ভিডিও আপলোড করেন। এতে একই এলাকার শেখ বাবু আহমেদ নামে অপর এক ব্যক্তি সহযোগিতা করেন।

পরে এ বিষয়ে পুলিশ তদন্তে নামে। ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আজিজুল হক তদন্ত শেষে   পুলিশের চাঁদা দাবির ঘটনা মিথ্যা বলে প্রতিবেদন দেন।

জেলার পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য চাপ দিলে ইকবাল ক্ষিপ্ত হয়ে ফেইসবুকে পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নামেন। পুলিশের ভাবমূর্তি ও কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করা হয় বলে পুলিশ মনে করছে। এ কারণে পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়।