বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের ল্যাবে চারজন শিক্ষক ও ১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল এ হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে।
তবে এই স্যানিটাইজার কাদের মধ্যে বিলি করা হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসিসিই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, করোনাভাইরাসের আগ্রাসন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা ব্যাপক হারে বুদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সংকট দেখা দিয়েছে।
“জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সহযোগিতায় আমরা এরইমধ্যে ৩৫ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছি।”
তিনি জানান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদান জেলা প্রশাসক দিয়েছেন।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি দলের সদস্য এসিসিই বিভাগের চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী শাহাদৎ হোসেন বলেন, করেনাভাইরাস সারা বিশ্বেই প্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। গোপালগঞ্জে অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এখানে স্যানিটাইজারের সংকট দেখা দিয়েছে।
“তাই প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে আমরা স্যানিটাইজার তৈরি করেছি।
“আমরা প্রত্যেকে ভাইরাস প্রতিরোধে যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসব। এভাবে এগিয়ে এলে ভাইরাস থেকে মুক্তি পাব এটাই আমার প্রত্যাশা।”
এদিকে, সোমবার সরকার আগামী ২৬ মার্চ থেকে অফিস বন্ধ ঘোষণা দেওয়ার পর মঙ্গলবোর ট্রেন ও বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।
বাংলাদেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি হিসেবে চারজন এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া নতুন ছয়জনকে নিয়ে দেশে ৩৯ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; যাদের মধ্যে পাঁচজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।