পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি বাগেরহাটের ৬ জনের

বাগেরহাটের সদর ও শরণখোলা উপজেলায় আইসোলেশনে থাকা ছয়জনের কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির।

বাগেরহাট প্রতিনিধি.বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2020, 09:23 AM
Updated : 24 March 2020, 01:01 PM

ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরা এক হাজার ১৪৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, মাইকিং ও ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

সিভিল সার্জন হুমায়ুন কবির জেলার স্বাস্থ্য সুরক্ষা কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে সদর ও শরণখোলা উপজেলার ছয়জনকে আইসোলেশনে রাখার পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ।

“পরে ওই নমুনা পরীক্ষার করে আইইডিসিআর জানায় যে, ছয়জনের কারও শরীরেই ভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। তারা এখন পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ দিনে ভারতসহ ৩৮টি দেশ থেকে মোট ৪২০০ জন বাগেরহাটে ফিরেছেন।

তাদের মধ্যে ১১৪৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে; বাকিদেরও হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনতে ‘কাজ চলছে’ বলে জানান সিভিল সার্জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে বার বার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, “পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই পারে আমাদের সুরক্ষা দিতে। পাশাপাশি ভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। “

অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ারও পরামর্শ দেন জেলার প্রধান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, করোনাভাইরাস আতঙ্কে জেলার সব জায়গায় জনসমাগম কমতে শুরু করেছে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হচ্ছেন না।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও কোনো ভিড় নেই। মোড়ে মোড়ে থাকা চায়ের স্টলগুলো ফাঁকা। রাস্তায় যান চলাচল তুলনামূলক অনেক কম।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বাগেরহাটে বেসরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ব্যক্তি সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) তৈরি করছে। এ কাজের উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন বাগেরহাট সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনস্যালটেন্ট (অর্থপেডিক্স বিভাগ) এস এম শাহনেওয়াজ।

সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, “সচেতনতাই আমাদের সুরক্ষা দিতে পারে। আমরা যে যার অবস্থানে থেকে জনসমাগম এড়িয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি ।”

“বিদেশ থেকে বাগেরহাটে আসা সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়ার জন্য প্রশাসন কাজ করছে। বিদেশ থেকে আসা কিছু বাড়ি শনাক্ত করে সেখানে লাল পতাকা ওড়ানো হয়েছে।”