রোববার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়।
এই আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. শাহ আলমকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি করা হয়েছে। তার স্থলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল হেলথ) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহকে এই জেলার সিভিল সার্জন করা হয়।
এই অবস্থায় গত শুক্রবার (২০ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন শাহ আলম তার সরকারি বাসভবনে তার মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
বিয়ে উপলক্ষে সিভিল সার্জনের বাসভবনের প্রধান ফটকের ভেতরে ফুল দিয়ে একটি তোরণ নির্মাণ করা হয়। বিয়েতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক, কয়েকজন কর্মচারী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা যোগ দেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে জনসমাগম পরিহারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শাহ আলম ওইদিন বলেছিলেন, “খুবই স্বল্প পরিসরে এই আয়োজন করতে হয়েছে। পরিবারে চারজন চিকিৎসক রয়েছে। তাদেরসহ অনেককেই আমন্ত্রণ করতে পারিনি। শুধু ২০-৩০ জন মানুষ অতিথি হিসেবে এসেছিলেন।”