নিহতের জ্বর, সর্দি, কাশি ছিল জানতে পেরে স্বাস্থ্য বিভাগ সোমবার বিকালে কাশিনাথ রোডে ওই নিহতের বাড়িসহ আশপাশের পাঁচটি বাড়িকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আনে বলে জানান মৌলভীবাজার মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত পরিমল দেব।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পার্থ সারতি কানুনগো জানান, রোববার দুপুরে শহরের কাশিনাথ রোডের ওই রোগীকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের নিয়ে আসে। তার শরীর ঠাণ্ডা পাওয়া যায়। এসময় তাকে ইসিজি করে দেখা যায় তিনি মারা গেছেন। স্বাজনরা লাশ নিয়ে দাফনও করেন ফেলেন।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিনেন্দু ভৌমিক জানান, মারা যাওয়া ওই নারীর বয়স ৬০ বছর। তিনি এক মাস আগে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসেন। তবে তিনি কোন রোগে মারা গেছেন তা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না।
“একই সাথে বাকি যারা সম্পৃক্ত হয়েছেন, তারাও যেন নিজ দ্বায়িত্বেই সতর্ক হন।”
তিনি জানান, একই সাথে তারা ওই এলাকায় মাইকিং করে অন্য বাসিন্দাদের সবাইকে সর্তক করেছেন।
তবে লন্ডন প্রবাসী নিহত নারীর করোনাভাইরাস আক্রান্ত নন বলে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে বলে দাবি করেন মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদ আহমদ।
তিনি জানান, হাসপাতালের চিকিৎসক, স্টাফ ও ওই নারীর বাসাসহ আশপাশের ৫টি বাড়ির সব মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে তারা বিষয়টি অনুসন্ধান করেন।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ জানান, ওই সব বাড়ি থেকে কোয়ারেন্টিন তুলে নেওয়ার সিভিল সার্জনের নির্দেশে পেয়েছেন।
তবে নিহতের নভেল করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোন নমুনা সংগ্রহ বা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে সন্দেহভাজনরা আক্রান্ত কিনা তা আইইডিসিআর-এর পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে।