করোনাভাইরাস: বিপাকে অন্য রোগীরা

নভেল করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে দিনাজপুরে প্রায় থমকে গেছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।

দিনাজপুর প্রতিনিধিমোর্শেদুর রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2020, 12:49 PM
Updated : 23 March 2020, 12:49 PM

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় সতর্কতার সাথে সীমিতভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রয়েছে। তবে বন্ধ হয়েছে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারগুলো।

শহরের যেসব স্থানে চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখতেন, সেখানে ঝুলিয়ে দিয়েছেন ‘চেম্বার বন্ধ’র নোটিশ।

এতে চরম বিপাকে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন অন্যান্য রোগে আক্রান্ত বেশ কজন রোগী। 

শহরের কালিতলায় ডা. বসন্ত কুমারের চেম্বারে বোচাগঞ্জ থেকে আসা সাইদুর রহমান জানান, তার দুই বছরের শিশুকে দেখাতে এসে দেখেন চেম্বার বন্ধ।

বিরল উপজেলা থেকে আরো দুইজন ওই চিকিৎসকের কাছে এসে চেম্বার বন্ধ দেখে হতাশ হন।

আরো কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা এখানকার নিয়মিত রোগী। ডাক্তার না পেয়ে জ্বর-সর্দি আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে এখন চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

চিকিৎসক না পেয়ে ওষুধের দোকানে গিয়ে তাদের পরামর্শ মত ওষুধ নিচ্ছেন অনেকে।

অন্যদিকে চিকিৎসকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে সঙক্রমণের ভীতি।

এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মানসি দেব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রোগী এলে তারাই দেখেন তাই করোনাভাইরাস সংক্রামক কোন রোগী আসলে তারাই প্রথম আক্রান্ত হবেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন।

“অথচ আমাদের কোন মেডিকেডেট সুরক্ষা নেই।”

দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ডা. নির্মল চন্দ্র দাস চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালনের জন্য অপ্রতুল্য সুরক্ষার কথা স্বীকার করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সুরক্ষা সরঞ্জামের জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে।

“সামান্য পাওয়াও গেছে।”

তবে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে গেছে বলেও জানিয়ে পরিচালক ডা. নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, পাঁচশ শয্যার এ হাসপাতালে যেখানে প্রায় এক হাজারের বেশি রোগী থাকত, সেখানে এখন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৩০ জন।

সোমবার দুপুর পর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় ১৬৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টোইনে রাখা হয়েছে।

জেলার সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, “হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা সবাই সুস্থ্ আছেন।”

বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ত ৩৩ জন আক্রান্ত এবং তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর জানিয়েছে। আর বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১৪,৬০০ ছাড়িয়েছে, আক্রান্ত তিন লাখ ৩৬ হাজার বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য।