প্রবাসীর সঙ্গে মিশে লক্ষণ নিয়ে ফেনী থেকে পালিয়ে ঢাকায়

প্রবাসীদের সঙ্গে মেলামেশার পর জ্বর, সর্দি-কাশিসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়া এক যুবক ফেনী ছেড়ে পালিয়েছে।

নাজমুল হক শামীম ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2020, 11:59 AM
Updated : 23 March 2020, 02:14 PM

সোমবার তার স্বজনরা জানিয়েছেন ওই যুবক সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা পরীক্ষা করা ঢাকায় চেষ্টা চালাচ্ছেন।

তবে ফেনীর সিভিল সার্জন সাজ্জাদ হোসেন জানান, ফেনীর শহরতলীর পাঁচগাছিয়া এলাকায় (ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে) ‘করোনাভাইরাস সংক্রামিত’ হয়ে একজন বাসায় অবস্থান করার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

“ওই ব্যক্তির খোঁজে রোববার রাতে তার বাড়িতে যায় স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন কিন্তু তিনি আগেই পালিয়ে যাওয়ায়।

“রাতেই ওই বাড়ি (সেতু বিল্ডিং) লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকার এক বেসরকারি কোম্পানির কর্মী এ যুবক গত কয়েক দিন বিদেশফেরত কয়েকজনের সঙ্গে মেলামেশা করেন। পরে তার শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয়।

এদিকে, তার পারিবারের এক সদস্য জানান, রোববার রাতেই ওই ব্যক্তি নিজেই করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) যান বলে তাদের জানিয়েছেন।

তবে তিনি কোন যানবাহনে করে কীভাবে ঢাকায় পৌঁছান তার সঠিক তথ্য দিতে পারেননি কেউ।

ওই যুবকের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভোররাতে ওই যুবক আইইডিসিআরে পৌঁছালেও সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের দেখা পান তিনি। তখন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা তাকে একটি কার্ড নিয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।

‘তবে সেখান থেকে পাঠানোর সময় কোনো ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না’ বলেও তার স্বজনরা জানান।

এরপর থেকে তিনি কুর্মিটোলা হাসপাতালে অবস্থান করছেন বলেন তারা।

ফেনীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সোমবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪৬ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে জেলার ছয় উপজেলায় ৫২১ জন প্রবাসফেরত হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।

এছাড়া ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ না পাওয়ায় ২১ জন প্রবাসীকে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করার অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন সাজ্জাদ হোসেন।