করোনাভাইরাস: সাভারে দুই কারখানা বন্ধ ঘোষণা

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাভারে দুইটি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কারখানা খোলা রাখার সরকারি পরামর্শের বাইরে গিয়ে কোন গার্মেন্টস বন্ধের ঘটনা সাভারে প্রথম এটাই।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2020, 10:30 AM
Updated : 23 March 2020, 10:36 AM

সোমবার সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়ায় ভরারীতে অবস্থিত ডার্ড গ্রুপের ‘ডার্ড গার্মেন্টস লিমিটেড’ ও দক্ষিণ শ্যামপুরের ‘দীপ্ত অ্যাপারেলস লিমিটেড’ বন্ধ ঘোষণা করে মূল ফটকের নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে মালিকপক্ষ।

আট হাজারের শ্রমিকের কর্মক্ষেত্র পোশাক কারখানাই সাভারের প্রথম কোন গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা করা হল। তবে গত শনিবার বিকালে রাজধানীর শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সরকার, মালিক ও শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় সভায় আপাতত কল-কারখানা সচল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, “দেশে কেভিড-১৯ এর প্রকোপের কারণে কারখানায় কর্মরত শ্রমিক/কর্মচারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ২৩ মার্চ থেকে পরর্বতী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধ থাকবে।”

কারখানা বন্ধ থাকাকালে সবাইকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা বিধি মেনে চলার পরাম্শও দেওয়া হযেছে এ নোটিশে।

শিল্প পুলিশ-১ এর পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কে সাভারের হেমায়েতপুর দুইটি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কতৃপক্ষ।

তবে শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের ব্যাপারে পরবর্তীতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালিকপক্ষ।”

এছাড়া বন্ধকালীন সময়ে সব শ্রমিককে চলিত মাসের বেতন পরিশোধ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে বলেও জানান তিনি।

ডার্ড গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানান, স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনায় বর্তমান পরিস্থিতিতে কারখানা চালু রাখা ঠিক হবে না মনে করেই মালিকপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি বলেন, “সরকার যেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন সেখানে কারখানা চালু রাখাটা নিরাপদ মনে করছে না আমাদের কর্তৃপক্ষ।

“আট হাজার শ্রমিকের বিশাল কর্মযজ্ঞের পরিবেশ থেকে কারো মাধ্যমে এ সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমন স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করেই আজ (সোমবার) থেকে কারখানা বন্ধ থাকবে “

শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আউয়াল হোসেন খান জানান, পরিস্থিতির উন্নতি হলে কারখানা খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালিকপক্ষ।