এ ঘটনায় জেলার নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের নিলোগুন গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা দুইজনকে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগের দিন মেয়েটি আত্মহত্যা করেন।
নিহত স্বপ্না রানী কবিরাজ (১৬) নিলগুন গ্রামের প্রবাসী রমনী (বিপুল) কবিরাজের মেয়ে এবং ভেদরগঞ্জ প্রতিভা সাইন্স পিরামিড স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন, ধর্ষণে অভিযুক্ত সুজিত বাছারের মা পারুল বাছার ও ভাই অজিত বাছার; তারা নিহতের প্রতিবেশী।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান ও ছাত্রীর মামা শ্রীকৃঞ্ষ জানান, ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাতে সুজিত বাছার ঘরে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকা স্বপ্না রানীকে জোর করে ধর্ষণ করেন।
এটা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় সালিশও বসে। কিছুদিন পর পুনরায় তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনালাপ শুরু হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোবাইল ফোনে এসব কথা বলা টের পেয়ে মেয়েকে বকা দেন নিহতের মা লাবনী। এ ঘটনা জানতে পেরে রোববার দুপুরে অভিযুক্ত সুজিতের মা পারুল রানি বাছার নিহত স্বপ্না ও তার মা লাবনী রানীকে ডেকে নিয়ে গালাগালি করে বলে জানান তারা।
ওসি বলেন, “গালাগালের রাগে অভিমানে স্বপ্না রানী কবিরাজ রোববার দুপুর ১টায় একটি চিরকুট লিখে রেখে তার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।”
চিরকুটে লেখা ছিল, ‘২০১৮ সালের ঘটনার জন্য আমার কোন দোষ ছিল না। ঘুমন্ত অবস্থায় আমার সাথে উনি এসব করছেন।’
নিহত ছাত্রীর মা লাবনী রানী বলেন, “আমার মেয়েকে ২০১৮ সালে ঘুমের ঘরে সুজিত বাছার সর্বনাশ করেছিল। এ ঘটনার পর সুজিতের ভাই অজিত বাছারের বৌ রিনা রানী ও তার মা পারুল আমাকে ও আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে নানা রকম গালিগালাজ করেছে।
“এ লজ্জা সইতে না পেরে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।”
এ ঘটনায় রোববার রাতে নিহতের মা লাবনী রানী বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
ওসি হাফিজুর বলেন, “ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার মামলা হয়েছে। পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”