দশ হাজার কিট আমদানি হবে: মেয়র জাহাঙ্গীর

করোনাভাইরাস শনাক্তে সিঙ্গাপুর থেকে ১০ হাজার কিট আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2020, 05:54 PM
Updated : 19 Nov 2021, 03:24 PM

রোববার সিটি কর্পোরেশনের গাছায় আঞ্চলিক কার্যালয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিপুল সংখ্যক লোক বাস করে। এখানে দুই হাজারের বেশি কল-কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ২০-২২ লাখ লোক কাজ করে। এখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।

“গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য শীঘ্রই সিঙ্গাপুর থেকে প্রয়োজনে বিশেষ বিমান ভাড়া করে ১০ হাজার কিট আমদানি করা হবে।”

মহানগরের প্রতিটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ব্যবহারের জন্য সুরক্ষা পোশাক সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হবে বলেও তিনি আম্বাস দেন।

ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসকে মোকাবেলায় আটটি থানা ও ৫৭টি ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৬৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, “আমরা সবাই নিজেকে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা করে অন্যকে সুরক্ষা রাখতে একযোগে কাজ করব।”

প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে কাউকে না যাওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি যতটা সম্ভব বাড়ি বা ঘরে বসে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন।    

তিনি গাজীপুরের মিল কারখানাগুলোর মালিকদের উদ্দেশে বলেন, প্রাথমিকভাবে কোনো শ্রমিকের জ্বর বা ঠাণ্ডা দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ যেন তাকে ছুটি দেয়। সে যাতে বাসায় অবস্থান করে সেই ব্যাপারে গার্মেন্টস মালিক এবং সিটি কর্পোরেশন সহযোগিতা করবে এবং তাদেরকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করা হবে।

কারখানায় প্রবেশের আগে গেইটে শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করারও আহবান জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক খলিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান জানান, গাজীপুরে ইতোমধ্যে প্রায়  হাজার প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে ১৮৭ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, পাসপোর্টে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী বিদেশফেরত প্রবাসীদের অনেককেই পাওয়া যায়নি। তবে জননিরাপত্তার জন্য পুলিশ তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছে।