ওই নারীর সংস্পর্শে আসা আত্মীয়-স্বজনদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মন্ডল।
দশ দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশির সঙ্গে শাসকষ্টে ভোগার পর গত ২০ মার্চ ওই নারী শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি হন। রোববার ভোর রাতে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ৬১ বছর বয়সী ওই নারীর মৃত্যু হয়। সিলেটের এ হাসপাতালেই কভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে।
আইইডিসিআরের নির্দেশনা মতে রোববার সিলেট নগরীর একটি গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মন্ডল জানান, ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করার জন্য আইইডিসিআরের প্রতিনিধিদের রোববার সিলেটে আসার কথা ছিল; কিন্তু তার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
“তাই আগে সংগ্রহ করে রাখা মুখের লালাসহ রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দুই দিনের মধ্যেই জানা যাবে তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিলেন কিনা।”
ওই নারীর সংস্পর্শে আসা সকল আত্মীয়-স্বজনের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সিভিল সার্জন আরও জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীদের দাফনের বিষয়ে আইইডিসিআরের নির্দেশনা মতে ওই নারীকে সিলেট নগরীর একটি গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৭ জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছে আইইডিসিআর; মৃত্যু হয়েছে দুইজনের।