নাটোর থানার একটি হত্যা মামলার এই আসামি পাঁচ দিন ধরে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথায় ভুগছেন।
জেলা কারাগারের সুপার আব্দুল বারেক জানান, এই বন্দিকে পাঁচ দিন ধরে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। রোববার সকালে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে কভিড-১৯ রোগীদের জন্য সংরক্ষিত আইসোলেশন বেডে নেওয়া হয়।
“কোনো চিকিৎসাতেই তিনি সুস্থ হচ্ছেন না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার শরীরে কভিড-১৯ রোগের সব উপসর্গ বিদ্যমান। তিনি পাঁচ দিন ধরে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথায় ভুগছেন।”
কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার, সরকারি কৌঁসুলি ও সংশ্লিষ্ট বিচারককে অবহিত করেছে বলে তিনি জানান।
কারা সুপার বলেন, “আমাদের ধারণা তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। তার সুরক্ষার পাশাপাশি কারাগারের অন্য বন্দি ও নিরাপত্তাকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
“ওই আসামিকে জামিনে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে পুলিশ হেফাজতে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।”
ঘটনা জানার পর এই বন্দীকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন মিজানুর রহমানও।