মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া গ্রামে এক সপ্তাহ আগে এ ঘটনা ঘটে বলে মালয়েশিয়া প্রবাসী ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন।
গত ১৫ মার্চ ওই প্রবাসী এ অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি ভিডিও দেন।
পৌনে দুই মিনিটের ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, মিঠামইন থানার দুই এসআই তার কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন এবং টাকা না দিলে হাতকড়া লাগিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন।
স্থানীয়ভাবে এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
বিষয়টি পুলিশের নজরে আসার পর সত্যতা যাচাইয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ।
তিনি বলেন, সত্য-মিথ্যা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম সার্কেল) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আজিজুল হক বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত শেষে পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়া হবে।
ওই প্রবাসী তার বিডিওতে বলেন, আট বছর পর তিনি গত ৭ মার্চ দেশে ফিরেছেন। গত ১৩ মার্চ বিকালে ৩টার দিকে মিঠামইন থানার এসআই নজরুল ইসলাম ও এসআই কিরণ তার বাড়ি যান। তারা তাকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে দাবি করে তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।