শনিবার থেকে শহরের রথখোলা ও সিএন্ডবি ঘাটের (নৌবন্দর) দুই যৌনপল্লি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা জানিয়েছেন।
মাসুম রেজা বলেন, শহরের এ যৌনপল্লিতে জায়গা কম, ঘিঞ্জি পরিবেশ এবং বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াতে করে থাকে। এতে সংক্রমণ ঝুঁকি থাকায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পরামর্শে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
“এই দুই পল্লিতে তিন শতাধিক যৌনকর্মী ছাড়াও বাড়িওয়ালী, মাসি ও অনেকের ছেলেমেয়ে রয়েছে।”
ইউএনও বলেন, মানবিক কারণে এ সময়ে যৌনকর্মীদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে এক-দুইদিনের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া বন্ধকালীন বাড়ীওয়ালাদেরকে যৌনকর্মীদের কাছ থেকে ঘরভাড়া না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মোরশেদ আলম বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে পল্লি দুইটির প্রবেশ পথের মধ্যে পুলিশ পাহারা জোরদার করা হয়েছে।
ফরিদপুর রথখোলা যৌনপল্লির জয় নারী সংঘর্ষের সাধারণ সম্পাদক শিউলি পারভিন বলেন, “আমাদের খাওয়া দাওয়ার এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। কাজ না পেলে তো পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করতে হবে।”
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের কান্দাপাড়ার যৌনপল্লি এবং রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের যৌনপল্লীতে লোকজনের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।