বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের বিভিন্ন জায়গা থেকে চারটি বিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান আয়োজনের খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে তিনটিতে জরিমানার করা হয়েছে আর একটি বিয়ে হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনুমতি নিয়েই।
চীনের উহান থেকে প্রাদুর্ভাব ঘটা করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে-একে মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১৫৮টি দেশে ২ লাখ ১৮ হাজার মানুষ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন; মৃতের সংখ্যা ৮৮০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে তথ্য দিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। আর বাংলাদেশে এতে নিশ্চিতভাবে একজনের মৃত্যু এবং ১৭ জন আক্রান্তকে শনাক্ত করতে পেরেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নতুন ধরণের এ ভাইরাসের নিশ্চিত কোন প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আক্রান্তদের আলাদা করে রাখাই সবচেয়ে জরুরি। বিশ্বের আক্রান্ত দেশগুলো থেকে প্রবাসীরা দেশে ফিরতে শুরু করলে তাদের ১৪ হোম কোয়ারিন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে সবাই তা মানছেন না্।যোগ দিচ্ছেন নানা জনসমাগমে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল আশিদ্রোন ইউনিয়নে হোম কেয়ারেন্টাইনে থাকা এক মালেশিয়া প্রবাসী বিয়ে করেছেন। অনুষ্ঠানে অনেকের সাথে মেলামেশা করেছেন।
অন্যদিকে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে হোম কেয়ারেন্টাইনে থাকা গ্রিস প্রবাসী বিয়ে করতে গিয়ে প্রশাসনের বাধার মুখে পড়েন।
এ সময় কনে পক্ষকে ৫০ হাজার ও কমিউনিটি সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বলে জানান, মৌলভীবাজার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেছার উদ্দিন।
তিনি বলেন, “কমিউনিটি সেন্টারটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়াও বৃহস্পতিবার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় হোম কেয়ারেন্টাইনে থাকা একজনকে বিয়ের এবং আরেকজনকে আকদের আয়োজন করায় ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান কুলাউড়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী।
ইমিগ্রেশনের রেকর্ড অনুযায়ী, গত ৩ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের উপরে প্রবাসী মৌলভীবাজারে এসেছেন। আর হোম কেয়ারেন্টাইন আছেন মাত্র ২১৬ জন বলে জানান মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান।
তবে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন জানান, অনেকে আইন মানছেন না। যারা মানছেন না এবং প্রশাসনের নজরে আসছে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।
দেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার কড়াকড়ির মাত্রা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যার অংশ হিসেবে সব ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।