করোনাভাইরাস: ওড়াকান্দির মেলা স্থগিত

গোপালগঞ্জে কাশিয়ানী উপজেলার শ্রীধাম ওড়াকান্দির শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ঐতিহ্যবাহী মহাবরুনীর মেলা স্থগিত করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2020, 09:51 AM
Updated : 19 March 2020, 09:51 AM

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মেলার প্রস্তুতি ও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত যৌথ পর্যালোচনা সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান, ঠাকুর পরিবারের সদস্য ও মেলা প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি সুব্রত ঠাকুর হিল্টু সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

সুব্রত ঠাকুর বলেন, “করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মহামারী আকার ধারণ করেছে। সারা বিশ্ব এ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০০ বছরের মহাবারুনীর মেলাসহ আনুসাঙ্গিক সবকিছু এ বছর স্থগিত করা হল।”

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, ঠাকুর পরিবারের সদস্য শ্রী সম্পদ ঠাকুর, মেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল সরকার, গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদার, কমিউনিস্ট নেতা অসিত বরণ রায় সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, “করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রবাসীদের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। এ রোগ প্রতিরোধে সবাইকে সহযোগীতার হাত প্রসারিত করতে হবে।”

করোনা ভাইরাস ঠেকাতে হোম কোয়ারেন্টিন না মানলে জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার হুঁশিয়ারি জানিয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান বলেন, “যারা কোয়ারেন্টিন মানবে না, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠাবে। এ ব্যাপারে আইন রয়েছে।”

এদিকে গোপালগঞ্জে ৭১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনের রয়েছে বলে গোপালগঞ্জে সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ জানান।

তিনি বলেন, এদের মধ্যে ৬৯ জন প্রবাসী ও দুই জন স্থানীয় বাসিন্দা।  জেলায় এখনো কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি । এ ছাড়া গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে কেউ ভর্তি নেই।

মেলা প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি সুব্রত ঠাকুর জানান, পূর্ণব্রহ্ম শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ২০০ বছর আগে শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে মহাবারুনীর মেলা ও স্মানোৎসব প্রচলন করেন। পুণ্যলাভের আশায় এ অনুষ্ঠানে প্রতি বছর ভারত, নেপাল সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ঠাকুরের ১০ লাখ ভক্তের সমাগম ঘটে।