সিরাজগঞ্জে নিহত ৪: কলেজের গেট ছিল অপরিকল্পিত

সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজে যে গেটের ছাদ ধসে চারজন নিহত হয়েছেন, সেটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল বলে তদন্ত কমিটির একজন সদস্য জানিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2020, 07:41 AM
Updated : 19 March 2020, 08:26 AM

তদন্ত কমিটির সদস্য তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইফফাত জাহান, তারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই গেটটি নির্মাণ করা হচ্ছিল।

মঙ্গলবার বিকেলে গুল্টা বাজারের এই কলেজে নির্মাণাধীন গেটের ওপরের অংশ ভেঙ্গে পড়লে হাটে আসা চারজন ঘটনাস্থলে নিহত হন; আহত হন আরও পাঁচজন।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বীকে প্রধান করে তিন সদসেধ্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ইউএনও ইফফাত জাহান ও উপজেলা প্রকৌশলী বাবলু মিয়া।

ইউএনও বলেন, গেটটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল। গেটের ওপরের অংশে পাঁচ ইঞ্চি দেয়ালের ওপর ২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি ছাউনি নির্মাণ করা হচ্ছিল।

“এখানে কোনো রড ব্যবহার করা হয়নি। শুধু সিমেন্ট ও বালু দিয়ে তৈরি করা ওই ছাউনির ওজনও অনেক। এ কারণেই সেটি ভেঙ্গে পড়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে গেটটি নির্মাণ করছিল। আমরা বিষয়টির তদন্ত করছি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”

এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ আসাদ-উজ-জামানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আশরাফুল ইসলাম।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, “কলেজের অধ্যক্ষ আসাদ-উজ-জামান সাড়ে সাত লাখ টাকা ব্যয়ে গেটটি নির্মাণ করছেন। এ কাজে কোনো ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। নকশা তৈরি করা হয়নি। অধ্যক্ষ নিজে সবকিছু করেছেন। কাজে অনিয়মের বিষয়ে স্থানীয়ভাবে বাধা দেওয়া হলেও তিনি কারও বাধা মানেননি।”

এ বিষয়ে অধ্যক্ষর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া গেছে। বুধবার বিকালে অধ্যক্ষর বাড়ি গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় নিহত দুইজনের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে।

তাড়াশ থানার ওসি মাহবুবুল আলম বলেন, মামলায় কলেজের অধ্যক্ষ আসাদ-উজ-জামানকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রড ছাড়া শুধু বালু দিয়ে ওই গেটের ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে বলে সেটি ধসে পড়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।