কক্সবাজার সৈকতে পর্যটককে নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক জনসমাগম নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2020, 04:03 PM
Updated : 19 March 2020, 04:27 PM

এছাড়া, কক্সবাজার আসা পর্যটকদের জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচারপত্রও বিলি করা হয়েছে।

সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বুধবার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন।

কামাল হোসেন বলেন, জীবনঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সরকার স্কুলসহ সবধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির ঘোষণা দিয়েছে; কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ব্যাপক লোক সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। এতে বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

“সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়েছে শিক্ষার্থীদের বাসা-বাড়িতে অবস্থানের জন্য। জনসমাগম ঘটে এ রকম স্থান এড়িয়ে চলতে। কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সন্তানদের নিয়ে অনেক অভিভাবককে ঘুরতে দেখা গেছে। এতে ব্যাপক জনসমাগমের কারণের বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।”

জেলা প্রশাসক বলেন, এ কারণে ট্যুরিস্ট পুলিশকে বলা হয়েছে-সৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে বড় ধরনের জনসমাগম হলে তাদের যেন সরিয়ে দেওয়া হয়; ব্যাপক পর্যটক জমায়েতকে যেন নিরুৎসাহিত করা হয়।

“কক্সবাজারে পর্যটক আগমনে নিষেধাজ্ঞা নয় আপাতত নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক পর্যটক সমাগম নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে সভা-সমাবেশ, সেমিনার এবং বড় ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।”

এছাড়া, পর্যটকসহ স্থানীয় মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মঙ্গলবার বিকাল থেকে কক্সবাজারে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাতে বেশি লোক সমাগম না হয় সেদিকে নজর রাখতে জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মৌখিকভাবে তাদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।