‘কুমিরকে পিটিয়ে’ বেঁচে ফিরল বাগেরহাটের কিশোর

বাগেরহাটে হযরত খানজাহান আলীর মাজারে দিঘিতে গোসল করতে নেমে কুমিরের কামড়ে আহত এক কিশোর ‘কুমিরকে পিটিয়ে’ বেঁচে ফিরেছে।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2020, 10:55 AM
Updated : 17 March 2020, 12:22 PM

শেখ রাকিবুল ইসলাম রাকিব নামে ১৪ বয়সী এই কিশোর সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের রণবিজয়পুর গ্রামের শেখ জাকির হোসেনের ছেলে। দরগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সে।

তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পায়ের মাংসপেশি ক্ষতবিক্ষত হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাকিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, সোমবার বিকেলে সে মাজারের খাঞ্জেলি দিঘিতে গোসল করতে গেলে কুমির তাকে আক্রমণ করে।

“মাজারের কাছেই আমাদের বাড়ি। আমি ও আমার এক বন্ধু গোসল করতে নামি। কয়েকটি ডুব দিয়ে সিঁড়িতে উঠে বসেছিলাম। এর কিছুক্ষণ পর পানির নিচে আমার ডান পায়ে কিসে যেন কামড়ে ধরে। প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি কিসে কামড়ে ধরেছে। যখন আমি আমার পা ছাড়ানোর চেষ্টা করি তখন কুমিরটি আরও জোরে কামড় দেয়। পরে আমি ওর মাথার দিকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকি। এই চলে অন্তত পাঁচ মিনিট ধরে। একপর্য়ায়ে কুমির পা ছেড়ে চলে যায়।”

এরই মধ্যে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যায়। তারা তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হাসপাতালের চিকিৎসক ডালিয়া আক্তার সাথী বলেন, “কুমিরের কামড়ে রাকিবের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে একাধিক স্থানে মাংসপেশি ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তাকে আমরা ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছি। সে এখন সুস্থ।”

প্রজনন মৌসুম হওয়ায় কুমিরটি হিংস্র হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন মাজারের খাদেম আক্তারুজ্জামান বাচ্চু।

তিনি বলেন, “কুমিরের এখন প্রজনন মৌসুম। তার ডিম ছাড়ার সময়। এসময় কুমির হিংস্র হয়ে ওঠে। এ কারণে দিঘিতে গোসল করতে নামা ওই কিশোরের উপর মা কুমিরটি আক্রমণ করে থাকবে। এ সময় দিঘিতে গোসল না করা ভাল। দিঘির ঘাটে বসে পানি তুলে গোসল করা যেতে পারে।”