জ্বর হওয়ায় আরও চার ইতালিফেরত গাজীপুর থেকে ঢাকায়

শরীরের তাপমাত্রা বেশি পাওয়ায় ‘অধিকতর পর্যবেক্ষণের জন্য’ আরও চার ইতালি প্রবাসীকে গাজীপুরের কোয়ারেন্টিন থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2020, 06:04 PM
Updated : 17 March 2020, 09:03 AM

সোমবার রাতে গাজীপুর মহানগরের পূবাইলের ‘মেঘডুবি ২০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ থেকে ওই চারজনকে ঢাকার উত্তরাস্থ কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে রোববার ওখান থেকে জ্বর অনুভূত হওয়াও চারজনকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। গত ১৪ মার্চ রাতে ইতালি ফেরত ৪৮ জন প্রবাসীকে এই কেন্দ্রে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। আটজনকে ঢাকায় পাঠানোয় সেখানে এখন ৪০ জন প্রবাসী পর্যবেক্ষণে রইলেন।

গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, মেঘডুবি হাসপাতালে স্থাপিত কোয়ারেন্টিন ছাড়াও গাজীপুর সদর উপজেলায় তিনজন এবং শ্রীপুর ও কাপাসিয়া উপজেলায় একজন করে মোট পাঁচজন প্রবাসী ‘হোম-কোয়ারেন্টিন’-এ রয়েছেন । তাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। 

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন, গাজীপুরে কর্মরত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয়, চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান জানান, মেঘডুবিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, একজন মেডিকেল অফিসার, দুইজন সাব-এসিস্টেন্ট মেডিকেল অফিসার ও পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।

রোববার বিকালে’মেঘডুবি’ কোরেন্টিনে না থাকার জন্য হাসপাতালটির কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে বাইরে এসে বিক্ষোভ করেছিল ইতালি ফেরত প্রবাসীরা।

চীনের উহানে প্রথম ধরা পড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সেদেশে পরিস্থিতি কিছুটা স্তিমিত হলেও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এর সংক্রমণ। বিশ্বের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ থেকে সাধারণ মানুষ কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। এতে বিশ্বে দেড় লাখের বেশি এতে আক্রান্ত হয়েছেন আর মারা গেছেন ছয় হাজারের বেশি। এর মাঝে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। এতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বিদেশ ফেরতদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে একাকি বসবাসে রেখে পর্যব্ক্ষেণ করা হচ্ছে।