পুলিশ আটক করার পর সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

পুলিশ আটক করার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদের মৃত্যু হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2020, 06:04 PM
Updated : 14 March 2020, 06:04 PM

শনিবার সন্ধ্যায় দামুড়হুদা উপজেলা থেকে আটকের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

নিহত জাহিদুল ইসলাম জাহিদের (৪৫) পরিবারের দাবি পুলিশ জাহিদকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন করায় তার মৃত্যু হয়েছে।

তবে পুলিশের এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করছে, মাদকসেবন করা অবস্থায় আটকের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে ‘মাদকাসক্ত’ জাহিদুলকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ফের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আবুহেনা জামাল জানান, যখন তার হাসপাতালে জাহিদ ছিলেন তখন জীবিত ছিলেন তিনি। তবে তার বুকে ব্যথা ছিল। তার বুকের ব্যথা কমানোর জন্য ওষুধ দেওয়া হয়েছিল।

“তার ব্যথা না কমায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।”

নিহতের এক স্বজনের দাবি করেন, পুলিশের নির্যাতনের পর জাহিদ অসুস্থ হয়ে পড়লেও পুলিশ তাকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলে।

নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাহিদকে আটকের পর পুলিশ জনতার সামনেই তাকে মারপিট করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়াদ্দার অনিক বলেন, আমরা দাবি করেছি একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার ময়নাতদন্ত করতে হবে।

“তাকে আটকের পর গাড়িতে তোলা পর্যন্ত ভিডিও আমাদের কাছে আছে। তারপরও সে কীভাবে মারা গেল, তা ময়নাতদন্ত হলে স্পষ্ট হবে।”

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, দামুড়হুদার জয়রামপুর স্টেশনের কাছ থেকে জাহিদুলকে মাদকসেবন করা অবস্থায় পুলিশ আটক করে।

“তাকে গাড়িতে করে আনার সময় সে গাড়ির মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

“সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জাহিদুল।”

নিহত জাহিদ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন।