এগারো বছর বয়সী মো. মাহবুব ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বেমগাদিয়ার সাইদুল ইসলামের ছেলে।
শুক্রবার বিকালে তার চাচা মতিউর রহমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন। ছেলেটি এখনও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আছেন ঢাকা মেডিকেলে।
তাকে অপহরণ করে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগে শুক্রবার র্যাব দুইজনকে আটক করেছে।
আটকদের একজন হলেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর গ্রামের সোবাহান খানের ছেলে মো. জামান (৪৯)। আরেকজন হলেন ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর।
মাহবুবের চাচা মতিউর সাংবাদিকদের বলেন, গত শনিবার মাহবুবকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা মোবাইর ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল তার বাবার কাছে। কিন্তু অপহরণের পর তার অবস্থান কোথায় তা জানা যায়নি।
শুক্রবার পত্রিকায় খবর দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তিনি ভাতিজাকে শনাক্ত করেন বলে জানান।
মতিউরের ধারণা, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ না পেয়ে মাহবুবকে মারধর করেছে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে।
কিশোরের স্বীকরোক্তিমতে জানা যায়, ময়মনসিংহের নান্দাইলে একই মাদ্রাসায় পড়াশুনাকালে মাহবুবের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত শনিবার বিকালে সে কৌশলে মাহবুবকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে। তাকে সহযোগিতা করেন মো. জামান। পরে তাকে মারধর করার পর মারা গেছে ভেবে রাতে স্থানীয় আজমতপুর-ইটাখোলা সড়কের পাশে জঙ্গলে ফেলে রেখে যায় তারা।
পরে তারা মোবাইল ফোনে ওই শিশুর বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বলে আটক কিশোর জানায়।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার এএসআই মো. আবুল কামাল বলেন, গত রোববার সকালে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার আজমতপুর এলাকার মহাসড়কের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা। স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজধানীতে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরোসার্জারি ইউনিটে (তিন)। সে হাসপাতালের নিউরোসার্জারি