কুড়িগ্রামে চৌকি আদালত বসানোর প্রতিশ্রুতি প্রতিমন্ত্রী জাকিরের

কুড়িগ্রামের দুর্গম অঞ্চলে আইনি সেবা সহজ করে দুর্ভোগ ঘোচাতে চৌকি আদালত স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2020, 01:38 PM
Updated : 13 March 2020, 02:10 PM

শুক্রবার দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী জাকির।

কুড়িগ্রামের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলাকে করে রেখেচে ব্রহ্মপুত্র নদ। ফলে ওই এলাকার বাসিন্দারা আইন-আদালতের সেবার জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এসব অঞ্চল থেকে কুড়িগ্রাম সদরে আদালত পাড়ায় যেতে সময় লাগে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা। এ সমস্যা সমাধান করার জন্য স্থানীয়রা দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে আসছেন।

এই সমস্যার কথা উল্লেখ কর প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, আইনি দুর্ভোগ ও দীর্ঘদিনের দুঃখ কষ্ট ঘোচাতে চৌকি আদালত স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় শেখ হাসিনার অবদান, বিনামূল্যে লিগ্যাল এইডে আইনি সেবা দান’ স্লোগানকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জেলা কমিটি, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা কমিটি এবং ৯টি ইউনিয়ন কমিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

দুর্গম এলাকায় বিচার সুবিধা সম্প্রসারণ করতে ব্রিটিশ আমল থেকেই চৌকি আদালত বসানো হয়ে আসছে। খুলনার পাইকগাছায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে, ভোলা, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চৌকি আদালত চালু রয়েছে। 

এছাড়াও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে রৌমারীতে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন।

কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মুনসী রফিউল আলমের সভাপতিত্বে এ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান, জেলা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কুসুম জিষ্ণু ও জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হাসান মাহমুদুল ইসলাম।

এছাড়া, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আশিকুল খবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মেনহাজুল আলম, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আহসান হাবীব নীলু, পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন, রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো, রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান ও রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদেরসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।