বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কবর থেকে তুলে ওই লাশ ময়মনসিংহে পারিবারিক কবরস্থানে ফের দাফনের জন্য তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাজীপুর সদর থানার ওসি আলমগীর ভূঁইয়া জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে লাশটি কবর থেকে তোলার জন্য আবেদন করেন গাজীপুর সদর থানার এসআই লুৎফর রহমান। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর সন্ধ্যায় লাশ তোলা হয়।
নিহত পুলিশ সদস্য শরীফ আহাম্মেদ (৩৩) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগে কর্মরত (কনস্টেবল নম্বর ৬২৩) ছিলেন। ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার ঝিলকি এলাকার আলাউদ্দিন ফকিরের ছেলে তিনি।
নিহত শরীফের বাবাও পুলিশ সদস্য; তিনি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা শহর ফাঁড়িতে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন।
গত ৮ মার্চ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূর্ব চান্দনা কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তার মরদেহ দাফন করা হয়। তখনও পুলিশ সদস্যরা জানত না এটি তাদেরই এক সহকর্মীর লাশ।
এদিকে, গত ৩ মার্চ শরীফ নিখোঁজের পর তার পুলিশ কনস্টেবল বাবা টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাধারণ ডায়রিতে নিহতের বাবা সমন্তানের নিখোঁজের বিবরণে বলেন, ২১ দিন ছুটি কাটিয়ে ২ মার্চ কর্মস্থলে যোগ দেন শরীফ। ৩ মার্চ রাত ১১টা ১০ মিনিটে স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে ফোনে শেষ বারের মত কথা বলেছেন শরীফ। এরপর থেকে তার কোনও খোঁজ নাই।
গাজীপুর সদর থানার এসআই লুৎফর রহমান বলেন, গলাকাটা লাশ উদ্ধারের পর পরিচয় জানতে চেষ্টা করেছি কিন্তু পরিচয় মেলেনি।
“তখন তার আঙুলের ছাপ নিয়ে রাখি কিন্তু তখন নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে (জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে) ক্রুটি থাকায় লাশের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
“এরপর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চেষ্টা করে গত বুধবার নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেছে।“
নিহতের মামা আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, শরীফ একজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। তাকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা অত্যন্ত দুঃখজনক। তার মুখমণ্ডল বিকৃত হয়নি। দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় এটিই শরীফ।