কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণ: ঠাকুরগাঁওয়ে তিন বন্ধুর যাবজ্জীবন

এক কিশোরীকে অপহরণের পর দলবেঁধে ধর্ষণের ১২ বছর পর তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ে এক আদালত।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2020, 03:06 PM
Updated : 12 March 2020, 03:06 PM

বৃহস্পতিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক গোলাম ফারুক এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু তৈয়ব মো. নজমুল হুদা।

ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অপহরণের দায়ে প্রত্যেককে আরও ১৪ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে;  জরিমানা না দিলে আরও ছয়মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের।

দণ্ডিতরা হলেন, জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মলিফত হোসেনের ছেলে মকিম উদ্দিন এনতা (৪৩), একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে সুমন (৩৩) ও দৌলতপুর গ্রামের মকিম উদ্দিন শুকনার ছেলে আব্দুল মালেক সানু (৩২)।

এ মামলার অপর আসামি পীরগঞ্জ উপজেলার জগথা গ্রামের আবুল হোসেনে স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৮) মামলা চলমান অবস্থায় মারা গেলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রিকশাচালক বাবা মনতাজ আলীর মৃত্যুর খবর দিয়ে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা গোগর চৌরাস্তার বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে কৌশলে অপহরণ করেন মকিম উদ্দিন এনতা। ওই কিশোরীকে পীরগঞ্জ উপজেলার জগথায় সখিনা বেগমের বাসায় নিয়ে যান অপহরণকারী মকিম।

ওই বাড়িতে দুই দিন ধরে কিশোরীকে আটকে রেখে মকিম উদ্দীন এনতা, তার দুই বন্ধু সুমন ও মালেক সানু দলবেঁধে ধর্ষণ করে।

২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় কিশোরীটির মা বাদী হয়ে রানীশংকৈল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

আইনজীবী আবু তৈয়ব জানান, ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি রাণীশংকৈল থানার এসআই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন মকিম উদ্দীন এনতা, তার দুই বন্ধু সুমন, মালেক সানু ও সখিনা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।