গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মজিদুল ইসলাম বলেন, রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ যুক্ত চায়না কন্সট্রাকসন সেভেন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের কর্মী তারা।
এ প্রকল্পে ৩১ চীনা নাগরিক কাজ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ চারজন সম্প্রতি ছুটি শেষে চীন থেকে গাইবান্ধায় ফেরেছেন।
“তারপরও সতর্কতার জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং গত ৭ মার্চ থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের নিয়মিত দেখা শোনা করছেন।”
“আরও নতুন চারজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত তাদের শরীরেও কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি।”
এর আগে আরও চারজন চীনা তাদের দেশ এ জেলায় আসার প্রসঙ্গ তুলে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ জানান, “তাদের কর্মস্থলে আলাদাভাবে কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছিল। নির্ধারিত সময় পার হলেও তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
“তারা বর্তমানে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।”
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মজিদুল ইসলাম বলেন,
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সারা দেশের মত গাইবান্ধাতেও প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা ও সাত উপজেলায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে র্যাপিড রেসপন্স টিমও গঠিত হয়েছে।
গত আড়াই মাসে বিশ্বের ১১৮টি দেশে ছড়িয়ছে নভেল করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬০০-র বেশি। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে মহামারী ঘোষণা করে।
তবে গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এ সংক্রমণ। বিভিন্ন দেশে সতর্কতা বাড়ালেও উৎসস্থলে কমে এসে নতুন রোগীর সংখ্যা। বুধবার চীনের মূলভূখণ্ডে নতুন করে ১৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে, যাদের আটজন হুবেই প্রদেশের।