নীলফামারীতে ‘আল্লাহর দলের’ শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার

নীলফামারী থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত আল্লাহর দলের দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2020, 12:41 PM
Updated : 12 March 2020, 12:41 PM

বুধবার রাতে সদর ও জলঢাকা উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান একথা জানান।

আটকরা হলেন সংগঠনের বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সাইফুল আলম (৩৭) এবং নীলফামারী জেলা প্রচার সম্পাদক জিকরুল আহম্মেদ (৩২)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন আল্লাহ দলের এই দুই শীর্ষ নেতাসহ কয়েকজন একত্রিত হন নীলফামারী জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ী বারঘড়িপাড়ার মিলনের বাড়িতে। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালায়।

“এ সময় সংগঠনের সমগ্র বাংলাদেশের দায়িত্বে থাকা তত্ত্বাবধায়ক  সাইফুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

তিনি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া রোজারভিটা গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে বলে এসপি জানান।

“পরে তার দেওয়া তথ্যে জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের ছাড়ারপাড় গ্রামের বাড়ি থেকে দলটির নীলফামারী জেলা প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা জিকরুল আহম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

এসপি জানান, জিকরুল ওই গ্রামের ইমান আলীর ছেলে। ওই স্থান থেকে সংগঠনের কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন সেট ও সাতটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, সাইফুল আলম ১৯৯৮ সাল থেকে জঙ্গি মতিন মেহেদীর গঠন করা আল্লাহ দল সংগঠনটিতে জড়িত হন। সাইফুলের মামা আব্দুল আজিজ আল্লাহ দলের সহ-অধিনায়ক। মামার হাত ধরেই আল্লাহ দলে যুক্ত হন সাইফুল।

এসপি বলেন, আল্লাহ দলের অধিনায়ক জঙ্গি মতিন মেহেদী ও সহ-অধিনায়ক আব্দুল আজিজ ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে আটক রয়েছেন। সাইফুল আলম নিষিদ্ধ জঙ্গি আল্লাহ দল সংগঠনের  সমগ্র বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তার মতো আরও চার জন সংগঠনের তত্ত্বাবধায়ক রয়েছেন দেশে।

অপরদিকে জিকরুল আহম্মেদ আল্লাহ দলের নীলফামারী জেলা প্রচার সম্পাদক বলে এসপি জানান।

জলঢাকা থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এদের বিরুদ্ধে জলঢাকা থানার এসআই নিশার আলী তিতুমীর বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিকালে তাদের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসুদ রানার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম আতিকুর রহমান, রুহুল আমিন, রবিউল ইসলাম, সদর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম, গোয়েন্দ পুলিশের ওসি আফজালুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।