বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরের নান্দিনা বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক নিজাম উদ্দিন (৫৫) রশিদপুর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জামালপুর সদর থানার ওসি সালেমুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরের নান্দিনা বাজার এলাকা থেকে নিজাম উদ্দিনকে আটক করা হয়।
“তিনি পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।”
নিজাম উদ্দিনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ৮ মার্চ বিকালে চকলেট ও আচার দিয়ে শিশুটিকে ফুসলিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে তাদের প্রতিবেশী মুদি দোকানি নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সানজিদা ইসলাম বলেন, সাত বছর বয়সী মেয়েটিকে প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গত দুপুরের জামালপুর সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন শিশুটির নানি।
ওসি জানান, নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ঝাড়ুদার হওয়ায় তার কাছে চাবি থাকে।
মামলা নথি উদ্ধৃত করে ঘটনার বিবরণ দিয়ে গিয়ে এ পুলিশকর্তা বলেন, ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহলের সহায়তায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিজাম ওই শিশুর স্বজনদের চাপ দেয়। এ নিয়ে সালিশ করে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার পায়তারাও চলে। এক পর্যায়ে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানান।
মঙ্গলবার গভীর রাতে রশিদপুরের ভাটিপাড়ার বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে। বৃহস্পতিবার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে বলেও জানান ওসি।