বুধবার বিকালে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিম আমলি আদালত-৪ এর বিচারক সাইফুল ইসলাম তাকে ছাড়াও আরও দুজনকে নির্ধারিত আদালতে উপস্থিত এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
অন্য দুইজন হলেন, কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম রফিক।
বাদি পক্ষের আইনজীবী লোকমান আলী বলেন, কালের কণ্ঠ পত্রিকায় রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টুকে নিয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে গত ২০ অক্টোবর আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন বেন্টু।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
“বুধবার আদালত পুলিশের প্রতিবেদন গ্রহণ করে তিন আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।”
গত ১৩ অক্টোবর ‘ছাত্রলীগ নেতার ‘খুনি’ এখন প্রভাবশালী আ. লীগ নেতা’ শিরোনামে কালের কণ্ঠে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এই সংবাদে ১৯৯৯ সালে ছাত্রলীগের নেতা গোলাম মুর্শিদকে কুপিয়ে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের একজন আজিজুল আলম বেন্টু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যে মামলাটি উচ্চ আদালত স্থগিত করেছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত বলে ওই খবরে উল্লেখ করা হয়।
এতে বাদির ভাবমূর্তি, খ্যাতি ও সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ায় প্রতিকার চেয়ে আদালতে এ মামলা করা হয়েছিল বলে জানান বাদীর আইনজীবী।
লোকমান আলী বলেন, পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদনে বেন্টু সরকারি জমি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসস্থান দখল, ভয় দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে সাধারণ মানুষের জমি কেনা, তার অস্ত্রধারী সহযোগী, জেলার ১১টি বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ ও তার দুইটি টর্চার সেল রয়েছে এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে।
এছাড়া তিনি ট্রাক চালক, মাছ বিক্রেতা ও দুধ বিক্রেতা ছিলেন এমন কোন তথ্য পায়নি বলেও উল্লেখ করেছে বলে জানান তিনি।
এ মামলা পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৩১ মে।