প্রসূতি ‘খুন’: গাজীপুরে স্বামী ও শ্বশুর গ্রেপ্তার

গাজীপুরে এক প্রসূতিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2020, 02:21 PM
Updated : 11 March 2020, 02:21 PM

বুধবার এ ঘটনায় নিহতের বাবা মামলা করার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত হাজেরা বেগম (১৭), জামালপুরের ইসলামপুর থানার আগড়াখালী এলাকার আব্দুল হাকিমের মেয়ে।

গ্রেপ্তার নিহতের স্বামী মামুন (২৩) ও শ্বশুর রমজান আলী (৫০); তারা ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানার এনায়েতপুরের স্থায়ী বাসিন্দা এবং গাজীপুর মহানগরের কুনিয়া পাছরে এক বাসায় ভাড়ায় থাকেন।

গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, বুধবার নিহতের বাবা বাদী হয়ে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন।

“এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহতের স্বামী মামুন (২৩) ও শ্বশুর রমজান আলীকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে।

তবে এ ঘটনার তদন্ত চলছে উল্লেখের পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিহতের স্বজনদের উদ্ধৃত করে গাছা থানার এসআই উদয়ন বিকাশ বড়ূয়া জানান, গাজীপুরের পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে নিহত হাজেরার সঙ্গে মামুনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় দেড় বছর আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। তারা স্বপরিবারে গাজীপুর মহানগরের কুনিয়া পাছর এলাকায় এক ভাড়া বাসায় ওঠেন।

“বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মামুনসহ তার পরিবারের লোকজন হাজেরার উপর নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। যৌতুক না দেওয়ায় হাজেরাকে তার বাবার বাড়িতেও যেতে দিতেন না তারা।

“এরই মাঝে হাজেরা অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন। যৌতুক না দেওয়ায় অন্তঃস্বত্তা স্ত্রীকে মাঝে-মধ্যেই বেধড়ক মারধর করতেন মামুন।

“এমনকি হাজেরাকে হত্যা ও তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য নানা ওষুধ খাওয়াতেন মামুন। এতে হাজেরার নানা সমস্যা দেখা দেয়।”

গত ১০/১১ দিন আগে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন হাজেরা। ডাক্তারের নির্ধারিত সময়ের আগেই এ সন্তান প্রসব করেন তিনি।

এতে খেপে গিয়ে মামুন হাজেরাকে মারধর করেন। যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে হাজেরা অসুস্থ্ হয়ে মঙ্গলবার রাতে মারা যান বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।