বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সন্নাসী সরকারপাড়া গ্রামের ওই কিশোরীকে (১৬) শেকল মুক্ত করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পুলিশের সঙ্গে ছিলেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এসএম হাবিবুর রহমান জানান, তাকে ঘরের মধ্যে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। আমরা তাকে মুক্ত করে থানায় নিয়ে আসি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী এ কিশোরীর শেকলবন্দির ঘটনা ফেইসবুকে জানাজানি হয়। এরপর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান তাকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন।
“দুই হাত শেকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় কিশোরীটিকে তার ঘরে দেখতে পাই।”
উদ্ধার করে মেয়েটির নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। বিকালে তাকে তার ‘দাদুর’ জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
হলোখানা ইউপি চেয়ারম্যান উমর ফারুখ বলেন, ওসির কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মেয়েটিকে শিকল মুক্ত করি।
কিশোরীর পারিবারের লোকজন বলছেন, বাবা-মাকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করায় ক্ষুব্ধ ছিলেন তারা। মঙ্গলবার বিয়ের কথা জানাজানির পর কিশোরীর বাবা মেয়েকে বুঝিয়ে ঘরে রেখে যান।
মেয়েটি বেশ কয়েকবার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল বলছেন তারা।
কিশোরীর দাদু জানান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত একই গ্রামের সবুজের সাথে গত অক্টোবর মাসে গোপনে বিয়ে রেজিস্ট্রি করে তার নাতনি।
“সম্প্রতি ঘটনা জানাজানি হলে বাড়ি থেকে বারবার পালানোর চেষ্টা করে সে। ফলে তাকে নিবৃত্ত করতে এবং নিরাপত্তার কথা ভেবে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।”