বুধবার সকাল ১০টায় ওই মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে কিশোরটির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরআগে মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার আরাফাত নগরের এক বাড়ি থেকে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশও উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত প্রেমিক ইমরান হোসেন (১৭) জয়পুরহাট শহরের মাদারগঞ্জের ফরিদ হোসেনের ছেলে এবং জয়পুরহাট মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নিহত প্রেমিকা তাজনুবা নাভিলা নীড় (১৫) জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং তার বাবার আব্দুস সামাদ; তারা পৌর শহরের আরাফাত নগরে ভাড়া থাকেন।
তিনি জানান, তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বাবা তাকে ইমরানের মেলামেশা করতে নিষেধ করেন। এতে অভিমান করে মেয়েটি আত্মহত্যা করে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার রাতে মেয়েটির শোবার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি বলেন, নাভিলার মৃত্যুর খবর পেয়ে তার প্রেমিক কলেজ ছাত্র ইমরান তার বাড়িতে কয়েক দফা আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। তবে পরিবারের সদস্যরা সচেতন থাকায় তিনি ব্যর্থ হন।
নিহত ইমরানের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃত করে তিনি জানান, ইমরান প্রচুর পরিমানে মাদক সেবন করায় এক সময় অচেতন হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতেই তাকে শহরের ট্রাক টার্মিনাল চত্বরে চেতনা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেওয়া হয়।
ওসি বলেন, দুইটি ঘটনার মোটিভ দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে প্রেম ঘটিত কারণে দুজনেই আত্মহত্যা করেছে।তবে ময়নাতদন্তর প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ময়নাতদন্তের জন্য ওই দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।