প্রেমের ফাঁদে প্রতারণা, বরিশালে নারীসহ গ্রেপ্তার ১০

প্রেমের ফাঁদে ফেলে জিম্মি করে পর্নোগ্রাফি তৈরি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে পাঁচ নারীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার জানান, চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে।

“সমাজের বিত্তবানরাই এ চক্রের প্রধান টার্গেট।”

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ডিবি পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে বলে জানান তিনি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শরিয়তপুর জেলার জাকির হোসেন (৩৮), তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা মনি (৩০), ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়ার বাসিন্দা সরকারি বিএম কলেজের ছাত্রী ফারজানা আক্তার ঝুমুর (২৫), বরিশাল সদরের ভবানীপুরের মকবুল হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী লিজা বেগম (২৫), কাশিপুরের মামুন বয়াতি (৩৪), চরকাউয়ার আশা আক্তার (২০), নগরীর কাউনিয়ার সেলিম হাওলাদার (৪৫), চহঠা এলাকার আরিফুর রহমান (৩০) ও ফকিরবাড়ি রোডের চৌধুরী ভ্যালীর খুশি বেগম (৪০)।

ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, এক মাস আগে বরিশাল নগরীর মুন্সি গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা ঠিকাদার সোহেল আল মাসুদের সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় সরকারি বিএম কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থবর্ষের ছাত্রী ফারজানা আক্তার ঝুমুরের। নিয়মিত কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

“মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝুমুরের আমন্ত্রণে নগরীর কালিবাড়ি রোড সরকারি বরিশাল কলেজের সামনে তার সাথে দেখা করতে যান মাসুদ। প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাকে চ্যাটার্জি লেনের এক বাসায় নিয়ে যান ঝুমুর। জাকির ও মঞ্জুয়ারা মনি দম্পতি ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। “মাসুদ ঘরে ঢুকতেই দরজা বন্ধ করে দেয় মনি। এ সময় ঝুমুর তাকে জড়িয়ে ধরে তার গায়ের পোশাক খোলার চেষ্টা করে। মোবাইল ফোনে সেই দৃশ্য ভিডিও করেন মনি।

কিছুক্ষণ পর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সেখানে হাজির হন জাকির। মাসুদকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার সাথে থাকা নগদ সাড়ে নয় হাজার টাকা নিয়ে যান। পরে বিকাশের মাধ্যমে আরো ১০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পান মাসুদ বলে জানান তিনি।

রাতেই ভুক্তভোগী মাসুদ পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে অভিযানে নামে গোয়েন্দারা। রাতভর অভিযান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতারক চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।