সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, কাজলদহ গ্রামের এই কিশোরী স্থানীয় যাত্রাপুর দাখিল মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে। তার বাবা ক্ষেতে-খামারে কাজ করে জীবিকা চালাতেন। শৈশবে তার বাবা মারা যান।
সম্প্রতি তার চাচা তার বিয়ে ঠিক করেন। বিয়েতে রাজি না হলে তাকে মারধর করা হয় বলে কিশোরীর অভিযোগ।
কিশোরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি তাকে বিয়ের বিষয়ে কিছু না বলে তার চাচার বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। তাকে না জানিয়েই আলামিন (২৫) নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়।
“চাচার বাড়িতে মৌলবি দিয়ে বিয়ে পড়ায়। আমি অস্বীকার করলে সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে চাচা, মা, বড় বোন ও দাদি আমাকে বিভিন্নভাবে মারধর করে। চাচা আমাকে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন। আমি তবু রাজি না হওয়ায় কবিরাজ নিয়ে আসে। কবিরাজ আমাকে চিকন কঞ্চি দিয়ে পেটায়। আর আলামিন আমার ঘরে ঢুকে ওড়না দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে।”
পরে এই কিশোরী বাড়ি থেকে পালিয়ে চেয়ারম্যান শাহ আলমের বাড়ি যান।
চেয়ারম্যান বলেন, “মাস খানেক আগে গভীর রাতে মেয়েটি আমার বাড়িতে এসে জানায় সে আর বাড়ি ফিরবে না। তাকে আশ্রয় না দিলে সে আত্মহত্যা করবে। আমি তাকে আশ্রয় দিয়ে পরদিন তার অভিভাবকদের ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে আনি। সেখানে সালিশ বৈঠকে মেয়েটি জানায়, তাকে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করলে সে জীবন দিয়ে দেবে।”
নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে তিনি নিজের বাড়িতে মেয়ে হিসেবে আশ্রয় দিয়েছেন বলে জানান চেয়ারম্যান শাহ আলম।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন জানান, কিশোরীর পরিবারের মুছলেকা নিয়ে তাকে চেয়ারম্যান শাহ আলমের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তার পড়ালেখার জন্য প্রশাসন পাশে থাকবে।