আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ফেরত পাঠানো হয় বলে চেকপোস্টের মেডিকেল ডেস্কের চিকিৎসক ফাবিহা সিদ্দিকী জানান।
৩০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা শহরের ভুবন-মধ্যনগরের বাসিন্দা বলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানান।
ডা. সাবিহা জানান, সকালে আগরতলা থেকে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনের মুখোমুখি হওয়ার আগেই দুই দেশের সীমান্তের শূন্যরেখায় থাকা মেডিকেল ডেস্কে তার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়।
“প্রথমবার তাপমাত্রা ছিল ৯৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এরপর তাকে সেখানেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ৩০ মিনিট পর আবার পরীক্ষায় তাপমাত্রা পাওয়া যায় ১০১ ডিগ্রি। পাশাপাশি পালস্ও অনেক বেশি ছিল।”
সাবিহা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন গত ৫ মার্চ বুকে জ্বালা-পোড়া সংক্রান্ত সমস্যায় তিনি ভারতের এক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. শাহ আলম বলেন, পর্যবেক্ষণে রেখে দুইবার পরীক্ষা করে শরীরের তাপমাত্রা বেশি পাওয়ায় তাকে বাংলাদেশে ঢুকতে না দিয়ে দুপুরে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর তাকে বাংলাদেশে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ওই ব্যক্তি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার রামধরনগর গ্রামে তার আত্মীয়ের বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন বলে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানান।