মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন পাঁচ মাস আগের এ মামলার এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামির বয়স ১৭ বছর। (অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করা হলো না।) রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট নান্টু রায় জানান, মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তার বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় বিচারক তাকে আট বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া এ মামলার বাকি আসামিদের বিচার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ১৪ অক্টোবর দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল বাসিরের ছেলে তুহিন মিয়ার (৫) ঝুলন্ত লাশ মেলে বাড়ির কাছের একটি গাছে। তার পেটে দুটি ছুরি গাঁথা ছিল; কান ও লিঙ্গ কেটে বিচ্ছিন্ন করা ছিল।
এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
পরে পুলিশ এ ঘটনায় তুহিনের বাবা আব্দুল বাসির, চাচা জমশেদ আলী, মোছাব্বির আলী, নাছির উদ্দিন ও এক চাচাত ভাইকে গ্রেপ্তার করে। তুহিনের চাচাত ভাই আদালতে জবানবন্দিও দেয়।
তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলে এ মামলার বিচার শুরু করে আদালত।